উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেনের ছয়টি অ্যাকাউন্ট বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির যেকোনো কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা যৌথ উদ্যোগে তহবিল গঠন করে থাকেন। এ আন্দোলনেও সেভাবেই অর্থ সংগ্রহ চলছিল।
তবে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এসব নম্বরে আর কোনো লেনদেন করা যাচ্ছে না।
রকেট, নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মোট ছয়টি অ্যাকাউন্ট থেকে তারা কোনো লেনদেন করতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীদের মেডিকেল সাপোর্ট বন্ধ
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মেডিকেল সাপোর্টও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যে মেডিকেল টিম উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছিলেন, তারাও সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের এক মুখপাত্র আরিফুল ইসলাম চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘অনশনরত শিক্ষার্থীদের সবার অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। তারা সবাই খিঁচুনি, ব্লাডে অক্সিজেন ও সুগার লেভেল কমে যাওয়া, ব্লাড প্রেশারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় পড়ছেন। তারা অর্গান ড্যামেজের ঝুঁকিতে আছেন।
উপাচার্যের বাসভবনে বিদ্যুৎ-সংযোগ স্বাভাবিক
টানা ২৮ ঘণ্টা পর শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনে বিদ্যুৎ-সংযোগ ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করে দেয়া হয়।
এর আগে, রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ওই বাসভবনের বিদ্যুতের তার কেটে দেন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সংবাদমাধ্যমকে জানান, শাবিপ্রবির উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরাই ওই বিদ্যুৎ সংযোগটি চালু করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল
মেট্রোরেল সেবা ভ্যাটমুক্ত ঘোষণা,কমবে ভাড়া
ডামি নির্বাচন, ভোট দিল ‘মৃত’ ব্যক্তি-শিশু