অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশা প্রকাশ করেছেন যে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করবেন।
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি সরকার যৌক্তিক বলে মনে করে। তবে গত ১৫ বছরের লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটে বিপর্যস্ত অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতি কিছুটা গতিশীল হলেও বর্তমানে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়ার মতো সামর্থ্য অর্জিত হয়নি। তাই বাস্তবতার নিরিখে সরকারকে সীমিত আকারে বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি, আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
সহকারী প্রেস সচিব আরও জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরারসহ সংশ্লিষ্ট সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান সুচিস্মিতা তিথি।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
বিএনপিতে যোগ দিলেন শাহাদাত সেলিম, পেলেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের মনোনয়ন
ঐক্যবদ্ধ না হলে ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে, নেতাকর্মীদের তারেক রহমান
১৬ ডিসেম্বর থেকে অনিবন্ধিত মুঠোফোন বন্ধে কঠোর সরকার