অনলাইন ডেস্ক:
শীত আসতেই বেড়ে যায় শারীরিক নানা সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম হলো হার্ট অ্যাটাক। শীতে অজান্তেই বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। মূলত ঠান্ডার কারণে রক্তের ধমনী সংকুচিত হয়ে যায়। যার ফলে রক্তচাপ বাড়তে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে রক্তচাপ বাড়ায় সারা শরীরে রক্ত পাম্প করতে ও শরীরের তাপ বজায় রাখতে হার্টকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এ কারণেই বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, শ্বাস নিতে অসুবিধা বা বাহু ও কাঁধে অস্বস্তি হতে থাকে। যা হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এগুলোকে চিনতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে করা বেশি?
মনে রাখবেন, হার্ট অ্যাটাক কারও বয়সের ওপর নির্ভর করে না। এটি যে কোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। তবুও কিছু নির্দিষ্ট ধরণের মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। সাধারণত ৪৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।
পাশাপাশি আপনার পরিবারের কেউ যদি হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ থেকে থাকে, তাহলে আপনিও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। তার সঙ্গেই ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
তবে যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো রোগ থাকে, সেক্ষেত্রেও সাবধান থাকে হবে। কারণ এসব থাকলেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শীতে হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচাবে চিকিৎসকের পরামর্শ। শীতে প্রায়ই মানুষ একটু অলস হয়ে যায়। যার কারণে হার্টের কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায়।
তাই আমাদের প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। শীতে আমাদের খাদ্যে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকরা বলছেন, একটি সুষম খাদ্য শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে আমাদের হৃৎপিণ্ডকে পরিশ্রম করতে হয় না।
যারা এরই মধ্যে হৃদরোগে ভুগছেন, তারা শীতে বেশিক্ষণ বাইরে থাকবেন না। মনে রাখবেন, শীতে হার্ট সুস্থ রাখা একটু কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এই মৌসুমে হার্ট সংক্রান্ত অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে ঠিকই, তবে নিয়মিত চেকআপ করালে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে সহজেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
আরও পড়ুন
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার
শীতে ভিটামিন সি’র ঘাটতি মেটাতে যেসব ফল খাবেন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য