শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক অটোরিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহতের বাবা আবুল কালাম মামলাটি দায়ের করতে ঢাকা মহানগর হাকিম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে আবেদন করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী লিটন মিয়া বলেন, ‘আদালতের কাছে দাখিল করা নথিপত্র পর্যালোচনা করে বিচারক শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট (এফআইআর) হিসেবে অভিযোগটি দায়ের করতে বলেছেন।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি মো. হারুন-অর রশীদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার কিনতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশের অজ্ঞাত সদস্যরা সাহাবুদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই তরুণ। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি পঞ্চম মামলা। অন্য মামলাগুলো হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যা ও অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
শুধু সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন ঐক্য
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন