ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকার সাবেক মেয়র শেখ তাপসের আলোচিত সেই টেলিফোন আলাপে হাসিনা তাপসকে জানিয়েছেন, আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্থাপনায় আগুনের নির্দেশও তিনিই দিয়েছিলেন। এর আগে এই টেলিফোন আলাপেই শেখ হাসিনা লিথাল উইপন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে প্রকাশ পায়।
‘আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ওপেন নির্দেশনা দিয়েছি। এখন লিথাল ওয়েপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সেখানে গুলি করবে।’
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কথোপকথনের সেই অডিও শোনানো হয়।
কথপোকথনের একপর্যায়ে শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেন তাপস। এর মধ্যেই শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিটিআরসি-বিটিভি পুড়িয়ে দিয়েছে। এখন ইন্টারনেট বন্ধ। মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে… আমাদের সেতু ভবন পুড়িয়েছে।’
তখন তাপস বলেন, রাতের বেলায় আরও ব্যাপক আক্রমণ করবে। কারণ আমি দেখলাম রাস্তায় রাস্তায় ওরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। এ সময় জায়গার নাম জানতে চান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিত্তোরে বনানী-গুলশানের কথা উল্লেখ করেন সাবেক এই মেয়র।
আজ আন্দোলনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।
পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ফোনালাপে শেখ হাসিনা নিজেই আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- ‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, যা যা পোড়াতে। ওরা পুড়িয়ে দিলো সেতু ভবন।’ তার মানে আগুন দেওয়ার নির্দেশ উনি দিয়েছেন। কিন্তু উনার কাঙ্ক্ষিত জিনিস না পুড়িয়ে অন্য স্থাপনা পোড়ানো হয়েছে।
বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর জোহা জবানবন্দিতে জানান, শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
সাইবার হামলার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
জুলাই সনদ স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই-সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪.৭৯ শতাংশ