September 21, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, September 21st, 2025, 1:47 pm

শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেননি, দাবি স্টেট ডিফেন্সের

গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি; বরং তিনি ভারতে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন—এমন দাবি তুলেছেন শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জেরা করার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজন আসামির বিরুদ্ধে ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন নাহিদ ইসলাম।

সাক্ষীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আমির হোসেন বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি ছিল দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ। এ আন্দোলনের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল। তাদের প্রভাবেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার প্রস্তাব তোলা হয়েছিল।

এ পর্যায়ে প্রসিকিউশন আপত্তি জানায়। তাদের মতে, মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। শেখ হাসিনার পক্ষে থাকা আইনজীবীও জানান, ড. ইউনূসকে এ প্রসঙ্গে টানা সমীচীন নয়, তবে সাক্ষীর বক্তব্যের খাতিরে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ও কামালকে নির্দোষ দাবি করে আমির হোসেন আরও বলেন, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার বা মারণাস্ত্র ব্যবহারের কোনো নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা। বরং জনগণের জানমাল ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি, তাই এই আসামিদের ওপর দায় বর্তায় না।

তবে এসব বক্তব্য অস্বীকার করেন সাক্ষী নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, ৫ আগস্ট সারাদেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের তথ্য তিনি জেনেছেন সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিসের কাছ থেকে।

এদিন বেলা ১১টার পর দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে নাহিদের জেরা শুরু হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর নাহিদ ইসলাম ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন। এরপর দুপুরে বিরতির আগে এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাকে জেরা করা হয়েছিল। কিন্তু জেরা শেষ না হওয়ায় আজ বাকি অংশ সম্পন্ন হয়।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এনএনবাংলা/