June 2, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, May 20th, 2025, 4:52 pm

শেরপুরে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে : বন্যার শঙ্কা

রফিকুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি : ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারীবর্ষণ এবং শেরপুর জেলায় গত কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
২০ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতরাত ১০টায় এ পানি ছিল ৩৯ সেন্টিমিটার, রাতের কিছু অংশে পানি কমলেও ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি এবং উজানে ভারী বর্ষণের কারণে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এদিকে সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পাশের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ীভোগাই নদীর পানি (নকুগাঁও পয়েন্ট) বিপৎসীমার ৩৭৯ সেন্টিমিটার নিচে,নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে,পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে ৬৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যে কৃষকদের পাকা ধান দ্রুত কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করে জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃষ্টি ও উজানের কারণে পানি বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান জানান, সকাল ১০টার তথ্য অনুযায়ী চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। টানা ভারী বর্ষণের কারণেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।