অনলাইন ডেস্ক :
অভিষেক টি-টোয়েন্টিতেই হ্যাটট্রিক! এমন ঘটনা ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এর আগে কখনই ঘটেনি। শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে নাথান এলিসের। অভিষেকেই তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম। যদিও তার দল কাল সিরিজ হেরেছে। তবুও জীবনযুদ্ধে বিজয়ী এলিসের অভিষেক হলো স্মরণীয়। চলতি বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড় ছিলেন এলিস। মূল দলেও ছিলেন না। পেসার রাইলি মেরেডিথের জায়গায় দলে সুযোগ পান ২৬ বছর বয়সী এই পেসার। তৃতীয় ম্যাচের শেষ ওভারের শেষ তিন বলে একে একে আউট করেন মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসানকে। তৈরি হয় নতুন ইতিহাসের। অথচ এই এলিসের জীবন ছিল ভীষণ কষ্টের। সংসারে অভাব থাকায় খেলা ছেড়ে বাসাবাড়িতে, অফিসে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগানোর কাজ করেছেন। কখনো করতে হয়েছে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ। কখনো ফার্নিচার তোলা ও নামানোর কাজ করতেন, কখনো ছবি আঁকতেন। সেন্ট ভার্জিলস কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর তার অভাব দূর হতে থাকে। ২০১৮ সালে এলিস খেলেন বিগ ব্যাশে সুযোগ পান। এরপর খেলেন তাসমানিয়া ক্রিকেট দলে। কিন্তু এলিসের সঙ্গে কোনো ক্লাব পেশাদার চুক্তি করছিল না। আবার হতাশ হয়ে ক্রিকেট ছাড়ার চিন্তা করেন। এরপরই তাকে সুযোগ দেন তাসমানিয়ার কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথ। ওই লিগে তাসমানিয়াকে জিতিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে পড়েন। তার জীবন বদলে যায়।
আরও পড়ুন
১৬ মে শুরু হতে পারে আইপিএল
ভুটানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল, বললেন ‘আমি পলিটিক্যাল কেউ না, স্পোর্টসম্যান’