জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর (শ্রীবরদী):
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণে ধান খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই ফড়িং এর আক্রমণে অল্প সময়ের মধ্যে ধান খেত ঝলসে গেছে। ফড়িং দমনে কীটনাশক ছিটানো হলেও কোন লাভ হয়নি। উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবতর্ী মালাকোচা, বিলভরট সহ বিভিন্ন গ্রামের অনেক কৃষকের ধান খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাধ্য হয়ে ঝলসে যাওয়া ধান গাছ কেটে ফেলছেন কৃষকরা। আবাদকৃত ধান ঘরে তুলতে না পেরে পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভূক্তভোগী কৃষক। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে উঠে আসে এমন চিত্র।
এলাকার কৃষক সূত্রে জানা যায়, কায়েকদিন আগে থেকে হঠাৎ করে ধান খেতে বাদামী গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) আক্রমণ করে। আক্রমণের ২-৩ দিনের মধ্যে ধান গাছ ঝলসে গিয়ে পুরো ধান ক্ষেত বিনষ্ট হয়ে যায়। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি অফিস থেকে তঁাদেরকে কোন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না। হঠাৎ এই পরিস্থিতিতে পড়ে ধান পাকার আগেই অনেক কৃষক তা কেটে ফেলছে।
মালাকোচা গ্রামের কৃষক ময়দান আলী বলেন, বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণে আমার প্রায় ৩ একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কোন পরামর্শ পাইনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ধান চাষ করি, কিন্তু কোন সময় কৃষি প্রণোদনা পেলাম না। বাবুল মিয়া বলেন, আমার ৭০ শতাংশ জমিতে হঠাৎ ওই পোকা আক্রমণ করেছে। বিষ দিয়েছি। কিন্তু ফসল অনেক কম হবে। ধান কাটা শ্রমিক শফিকুল ইসলাম বলেন, বাদামী গাছ ফড়িং আক্রমণ করায় ধান পাকার আগেই কাটা হচ্ছে। তাই :ফলন অনেক কম হবে। একই গ্রামের কৃষাণি মোছা. কোকোলা বেগম বলেন, আমি ২ একর জমিতে ধান আবাদ করি। কিন্তু কোন সময় সরকারি সহযোগিতা পাই না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন বলেন, কিছু কিছু এলাকায় বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণে কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এব্যাপারে আমারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি।
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান