ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ও সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে কৃর্তপক্ষ। একই সময় শিক্ষার্থীদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়েটের উপ পরিচালক ফজলুর রহমান জানান, চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদেরকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, স্নাতক পর্যায়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।
চুয়েট সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে চুয়েট ছাত্রলীগের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে একাধিকবার মারামারির ঘটনা ঘটে। এর জেরে মঙ্গলবার ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ চট্টগ্রাম শহরমুখী শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সব বাস আটকে রাখে। ফলে শহর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশ ক্যাম্পাসে বিকল্প পরিবহনের গিয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে ৫০ জনের মতো একটি গ্রুপ হেলমেট পরে লাঠিসোঁটা, রামদা নিয়ে ক্যাম্পাসে টহল দিয়েছে। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম শহরে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন চুয়েট ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরি হওয়ায় চুয়েটের রাত ৯টার বাসটি ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে বলে তারা। তবে একই বাসে থাকা অন্য একটি গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এর বিরোধিতা করে। মূলত এইসব বিষয় নিয়েই দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ও মারামারির ঘটনায় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, চুয়েটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
অবশেষে এমপিওভুক্ত হচ্ছেন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা
১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো দুই দিনব্যাপী নজরুল জয়ন্তী উৎসব ও বইমেলা