গত ৫ আগস্ট জাতীয় সংসদ ভবনে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সরকারি ও ব্যক্তিগত তহবিলসহ প্রায় ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত সচিব জেবুন্নেসা করিমের (অতিরিক্ত সচিব, কমিটি সাপোর্ট উইং) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় তুলে ধরা হয়।
লোকসানের পরিপ্রেক্ষিতে চুরি যাওয়া নগদ অর্থ উদ্ধারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সংসদ ভবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অফিস, উপধারা ও বিভাগ থেকে হারিয়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের বিস্তারিত তালিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই তালিকা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রতিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রধানদের কাছে জমা দিতে হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনের বিভাগীয় প্রধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে মেরামতের জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
সভায় সংসদ ভবন,সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া ও নাখাল পাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল ও সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং উপরোক্ত এলাকার ভাঙা, হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত ৩টি কমিটি গঠিত হয়।
এসব কমিটিসমূহকে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্তূপীকৃত মালামাল সরেজমিন পরিদর্শন করে শপথকক্ষে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন ও সেটসমূহ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই লাখ লাখ বিক্ষোভকারী জাতীয় সংসদের দিকে ছুটে যায়। সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার বিভিন্ন সড়কে স্থাপন করা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকে মিছিল করে।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই সংসদ ভবনের সামনের সিঁড়িতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীতে ভরে যায়। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করতে দেখা যায় তাদের।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীর শাস্তির রায়ে উদ্যাপন হবে: আসিফ নজরুল
কাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু: উপদেষ্টা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি