মামুন হায়দার, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে পরিচিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের ৫৩ হাজার চারা ধ্বংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ চারা ধ্বংস কার্যক্রম চালানো হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রনী এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ যৌথভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এর আগে স্থানীয় চারা উৎপাদনকারী নার্সারি মালিক ও সাধারণ জনগণকে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের পরিবেশগত ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। জানানো হয়, এসব গাছ মাটির পানির স্তর দ্রুত হ্রাস করে এবং জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উপজেলার শোলাপ্রতিমা এলাকার শহীদ প্রাইভেট নার্সারি, সানোয়ার নার্সারি, মায়ের দোয়া নার্সারি এবং নার্সারি মালিক শাহজাহান মিয়া, কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল মিয়া ও আব্দুর রহিমের নার্সারিতে চারা ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, “ভবিষ্যতে কেউ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির চারা উৎপাদন বা বাজারজাতের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর নজরদারিও চালানো হবে।” উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ জানান, “মালিকদের ক্ষতিপূরণ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৫৩ হাজার চারা ধ্বংস করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব নার্সারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে উৎপাদিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণির চারা ধ্বংস করা হবে।”
প্রসঙ্গত, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিকে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। ১৫ মে ২০২৫ তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ করে।
আরও পড়ুন
দুই কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় দালালদের দৌরাত্ম: আশুলিয়া ভূমি অফিসে সেবাপ্রত্যাশীরা জিম্মি
ভারতের ইন্ধনে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর- রাশেদ প্রধান
কুড়িগ্রাম ২২-বিজিবির বৃক্ষরোপন কর্মসূচী-২০২৫ পালিত