‘সচিবালয় ভাতা’ আদায়ের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে টানা ছয় ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ করে আন্দোলনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (গতকাল) জারি করা একাধিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহসভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমান গাজী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক আবু বেলাল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. তায়েফুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক বিপুল রানা বিপ্লব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো. আলিমুজ্জামান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র রায়, একই মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী ইসলামুল হক ও মো. মহসিন আলী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক ও সংযুক্ত পরিষদের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক নাসিরুল হক রয়েছেন।
২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতার দাবিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা দরজার সামনে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং কোনোভাবেই উপদেষ্টাকে কক্ষ ত্যাগ করতে দেননি। দীর্ঘ সময় পর রাত ৮টা ১২ মিনিটে পুলিশি নিরাপত্তায় অর্থ উপদেষ্টা সচিবালয় ছাড়েন।
ঘটনাটি নিয়ে সাবেক আমলারা বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল একটি স্থানে একজন উপদেষ্টাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনা শুধু বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকিই নয়, প্রশাসনিক শৃঙ্খলার চরম অবনতির চিত্রও প্রকাশ করেছে।
প্রশাসনিক ইতিহাসে এমন ঘটনার কোনো নজির নেই বলেও মন্তব্য করেছেন সাবেক শীর্ষ আমলারা।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
হাদির খুনি শ্যুটার ফয়সালের সর্বশেষ অবস্থান ভারতের মহারাষ্ট্র
বিমানবন্দরসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন, নিরাপত্তা জোরদার
ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ, সরকারকে দায় নিতে হবে: ফখরুল