অনলাইন ডেস্ক :
পরিসংখ্যান বলছে, স্টুয়ার্ট ব্রডের ‘বানি’ ডেভিড ওয়ার্নার। পারিপার্শ্বিকতা বলছে, ব্রডের মুখোমুখি হওয়া মানেই ওয়ার্নারের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের নিজের দাবি ভিন্ন। ব্রডের বল খেলতে নাকি তার ভালো লাগে সবসময়ই! টেস্ট ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত ১৭ বার ব্রডের শিকার হয়েছেন ওয়ার্নার। আর মাত্র দুবার এর পুনরাবৃত্তি হলেই দুজনের নাম উঠে যাবে বিশ্বরেকর্ডে। ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনার মাইক আথারটনকে ১৯ বার আউট করে রেকর্ডটি এখন অস্ট্রেলিয়ান পেস কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রার। রেকর্ডটি হয়ে যেতে পারে বুধবার শুরু হতে যাওয়া ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টেই। কিংবা সুযোগ আছে ওভালে পরের টেস্টেও। সবশেষ টেস্টেই হেডিংলিতে ওয়ার্নারকে ৭ বলে ২ দফায় আউট করেছেন ব্রড।
লড়াইটা তো স্কিলের বটেই, তবে নানা বাস্তবতায় এটিকে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও মনে হতে পারে। ওয়ার্নারের ভাবনাজুড়েই বাসা বাঁধতে পারে ব্রডকে নিয়ে আতঙ্ক। তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের আগে সাবেক দুই ইংলিশ ক্রিকেটার মাইকেল ভন ও ফিল টাফনেলের সঙ্গে ‘ভনি অ্যান্ড টাফারস ক্রিকেট ক্লাব পডকাস্ট’-এ ওয়ার্নার বললেন, ব্রডকে সামলানো নিয়ে বেশি ভাবেন না তিনি। “ম্যাচ-আপ নিয়ে আসলে আমি খুব একটা ভাবি না। ভাবনায় থাকে, কোন বলটি আমার দিকে আসছে, কীভাবে রান করা যায়। সে (ব্রড) অবশ্যই সবসময় ভালো জায়গায় বল করে।” “আমি সবসময়ই ব্রডের মুখোমুখি হতে ভালোবাসি। আমাদের উদ্বোধনী জুটিতে দুজনই বাঁহাতি (ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা) এবং সে বাঁহাতিদের বিপক্ষে বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন, সেরা যদি নাও হয়। এই কাজটায় সে দারুণ। জিমিও (অ্যান্ডারসন) আছেৃ ওদেরকে আমরা লম্বা সময় ধরে দেখছি ও তাদের বিপক্ষে খেলছি।” চলতি ইংল্যান্ড সফরে এখনও সেরা চেহারায় দেখা যায়নি ওয়ার্নারকে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রান করলেও পরের ইনিংসে ফেরেন ১ রানে। অ্যাশেজে প্রথম টেস্টে করেন ৯ ও ৩৬। দ্বিতীয় টেস্টে লর্ডসে ৬৬ রানের সাবলীল ইনিংস খেলেন। সফরে এখনও পর্যন্ত তার একমাত্র ফিফটি যেটি। পরের ইনিংসে করতে পারেন ২৫। সবশেষ হেডিংলি টেস্টে তার সংগ্রহ মোটে ৪ ও ১। এই পারফরম্যান্সের পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে তাকে বাদ দেওয়া হতে পারে বলেও গুঞ্জন ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অভিজ্ঞ ওপেনারের ওপর আরেকটু ভরসা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার নিজে অবশ্য মনে করেন, খুব বাজে ফর্মে নেই তিনি। “আমার তো মনে হচ্ছে, আমি দারুণ ছন্দে আছি। নেটে খুব ভালো অনভুব করছি, সিরিজ শুরুর আগে আমাদের পেসারদের বিপক্ষে ভালো সেশন কাটিয়েছি। লর্ডসে যেভাবে ব্যাট করেছি, সম্ভবত গত দুই বছরের মধ্যে সেরাটা খেলেছি।” “এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন কন্ডিশনগুলোতেই মনে হয় আমরা ব্যাট করেছি। লিডসে (হেডিংলি) খুব ভালো দুটি বলে আউট হয়ে গেছি। এসব নিয়ে খুব বেশি কিছু করার নেই। এটাকে ¯্রফে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবেৃ আর কিছু করার নেই।”
আরও পড়ুন
অবশেষে বিপিএলের টিকিট মূল্য প্রকাশ, কিনবেন যেভাবে
ঢাকায় নেমে আফ্রিদি বাংলায় বললেন, ‘আমি চলে এসেছি’
টেস্ট ক্রিকেট: মরণদশা থেকে বাঁচানোর উপায় কী