রংপুর ব্যুরো: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন কার্যকর প্রেস কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে । তিনি বলেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সমৃদ্ধ করতে প্রেসকাউন্সিল গঠন করা হলেও বিগত দিনে তা বাস্তবায়ন করা যায়। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনিবলেন মানুষ অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর শীল হয়েছে। আমরা বিগত ১৫ বছরে মূল ধারার সাংবাদিকরা ব্যর্থ হয়েছি রাজনৈতিক কারণে। হঠাৎ হঠাৎ করে যে সমস্ত অনলাইন মিডিয়া গড়ে উঠেছে সেই সমস্ত সংবাদ এর উপর বেশি বিশ্বাস করেছে। আমরা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মূল ধারার সাংবাদিকরা ব্যর্থ হয়েছি। সরকারের বিভিন্ন স্বরেসরি পদক্ষেপ মামলা মোকদ্দমা ও বিভিন্ন আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও নিপীড়নের চেষ্টা এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন। বড় বড় কর্পোরেট মালিকদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিডিয়দেরকে ব্যবহার করেছেন তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। তখন দেখা গেছে মানুষের স্বার্থ মানুষের ভোগান্তি সে কথাগুলো না লিখে তাদের কথাই লিখছেন মালিকদের কথামতো।
এ সময় তিনি স্থায়ী মিডিয়া কমিশন গঠন এবং নির্যাতিত-নিপীড়িত সাংবাদিকদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়ানোর সুপারিশমালা তুলে ধরার কথা জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড, গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ,বেগম কামরুন্নেসা হাসান প্রমূখ । তিনি আরো বলেন, এই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে সরকারকে সরকার যে বিধিমালা রয়েছে এখনই বাস্তবায়ন করা জরুরী ঠিক তেমনি। আমরা যে সমস্ত সুপারিশের কথা ভাবছি যেমন আপনারা যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। সংস্কার কমিশন প্রধান আর বলেন, আপনাদের বিষয়গুলো যথাযথভাবে সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারি এবং তাদের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো সরকারকে মানাতে পারি আমাদের সুপারিশ মালা। তাহলে পরিবর্তন সম্ভব এবং অবশ্যই সেই পরিবর্তন আসবে। আপনারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন তুলেছেন ওয়েজ বোর্ডের প্রশ্ন এবং প্রেস কাউন্সিল এর প্রশ্ন। ওয়েব বোর্ড গণমাধ্যম সংস্কারে এক্তিয়ার নয়। তিনি আরও বলেন, ওয়েব বোর্ড খুবই টেকনিকাল একটি কাজ। এখানে জীবনযাত্রা মানে জন্য কতটুকু ব্যয় করতে হয় একটা পরিবারে। একজন সাংবাদিকের কি কি ঝুঁকি রয়েছে। একজন রিপোর্টারের কি কি দায়িত্ব রয়েছে। যারা প্রতিটি হাউসের ডেক্সে বসে কাজ করে তাদের একই রকম ঝুঁকি নয় । একটি হাউসে বিভিন্ন ক্যাডা করিতে সাংবাদিকরা কর্মরত রয়েছে। বিভিন্ন পদের বিভিন্ন দায়িত্বে বেতন অবকাঠামো ভাগ করা রয়েছে। সুতরাং সেগুলো নির্ধারণের জন্য বিশেষজ্ঞ লাগে পাশাপাশি সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও দরকার হয় । সে কারণেই ওয়েস্টবোর্ডের কাজটি আমাদের নয়। সাংবাদিকদের সম্মানজনক জীবন ধারণের জন্যে ন্যূনতম বেতন এবং সম্মানজনক মর্যাদা পায়। সে বিষয়ে আমরা তুলে ধরব। সেটা না থাকলেই আপনার সামাজিক নিরাপত্তা জীবনের ক্ষুণ্যতা কোনটাই নিরাপত্তা রাখতে পারবেন না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের দেড় শতাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা স্বাধীন ও নিরাপত্তা,সন্মানী নিশ্চিত,সংবাদ কর্মীদের কাজে বাধা প্রদানকারী সকল কালো আইন বাতিল,সাংবাদিকরা কোন দল করতে পারবে না এবং গণমুখী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দাবি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন
কমলগঞ্জে আধুনিক চাষাবাদের বিস্তারে হারিয়ে যাচ্ছে আখ চাষ
কোন কোন সবজিতে মেলে ভিটামিন ডি?
অবশেষে আলোচিত সেই এনজিও থেকে বাছুর বুঝে পেলেন দশ নারী