অনলাইন ডেস্ক :
চীনের সবচেয়ে জনবহুল শহর সাংহাইয়ের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ কোভিড -১৯ এ সংক্রামিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন শহরটির শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালের একজন সিনিয়র ডাক্তার। মঙ্গলবার (৩রা জানুয়ারী) চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বাতৃা সংস্থা এএফপি।গত মাসে সামান্য সতর্কতা বা প্রস্তুতি সহ কয়েক বছরের কঠোর বিধিনিষেধ হঠাৎ শিথিল হওয়ার পরে চীন জুড়ে দ্রুত সংক্রমণের তীব্র বৃদ্ধি ঘটে এবং হাসপাতাল এবং শ্মশানগুলোতে চাপ অভিভূত হয়। সাংহাইয়ের রুইজিন হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আঞ্চলিক কোভিড বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য চেন এরজেন অনুমান করেছেন, শহরের ২ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই সংক্রামিত হতে পারে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিপলস ডেইলির এক সাক্ষাতকারে চেন বলেন, এখন সাংহাইতে মহামারীর বিস্তার খুব বিস্তৃত এবং এটি জনসংখ্যার ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। যা গত এপ্রিল এবং মে মাসের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি। চেন জানিয়েছেন, সাংহাই এপ্রিল মাসে ৬ লাখেরও বেশি বাসিন্দা সংক্রামিত হয়েছিল। যারফলে দুই মাসের অধিক সময় লকডাউনের আওতায় ছিল। কিন্তু এখন, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটি শহর জুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এবং বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ২০২৩ সালের শুরুর দিকে সেখানে সংক্রমণ সর্বোচ্চ হবে। চীনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন, বেইজিং, তিয়ানজিন, চংকিং এবং গুয়াংজু সহ অন্যান্য বড় শহরগুলোতে সংক্রমণ ইতোমধ্যে শীর্ষে পৌঁছেছে। চেন আরও বলেন, তার সাংহাই হাসপাতালে প্রতিদিন ১৬০০ জরুরী ভর্তি হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আগে সংখ্যার দ্বিগুণ, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ কোভিড রোগী। তিনি বলেন, প্রতিদিন ১০০ টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে আসে, জরুরী ভর্তির প্রায় অর্ধেকই ৬৫ বছরের বেশি বয়সী দুর্বল মানুষ। এদিকে সাংহাই শহরের কেন্দ্রস্থলের টংরেন হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার উপচে পড়া ভিড় দেখেছেন এএফপি সাংবাদিকরা। তারা হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের বাইরেও রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে দেখেছেন।
আরও পড়ুন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছেই, একদিনে নিহত ৫৮