২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল আফগানিস্তান। পাঁচ বছর পর ইতিহাস ঘুরে দাঁড়াল। এবার শারজাহতে তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানদের একইভাবে বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা। আর সেই কৃতিত্বের বড় অংশ জুড়ে সাইফ হাসানের ঝড়ো ব্যাটিং।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু সেটিকেই ইতিহাসে রূপ দিলো টাইগাররা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে আফগানিস্তান। ৪০ রানের আগেই হারায় শীর্ষ তিন উইকেট। মাঝের দিকে দারউইশ রাসুলি (৩২) ও সিদ্দিকুল্লাহ আতাল (২৮) কিছুটা লড়াই করলেও শেষদিকে আর দাঁড়াতে পারেনি তারা। নাসুম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে আফগানরা। শেষদিকে মুজিব উর রহমানের ১৮ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে ভর করে ২০ ওভার শেষে দলটি দাঁড়ায় ১৪৩/৯ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাইফউদ্দিন। ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট। নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব নেন ২টি করে উইকেট। শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন পান একটি করে উইকেট।
১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগাররা শুরুতেই হারায় পারভেজ ইমনকে (১৪)। তবে এরপর সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস সাজান তানজিদ হাসান। তানজিদের (৩৩) সঙ্গে গড়া ৫৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয় জয়ের দিকে।
মাঝে এক ওভারে দুই উইকেট তুলে কিছুটা উত্তেজনা ফেরান মুজিব। তার শিকার হন জাকের আলি (১০) ও শামিম হোসেন (০)। তবে অপর প্রান্তে সাইফ হাসান ছিলেন অটল। মাত্র ৩৫ বলে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গী নুরুল হাসান খেলেন ১০ রানের ছোট্ট ইনিংস।
১২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাওয়াশ করলো টাইগাররা।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
নতুন বাংলাদেশ গড়তে কারও দাসত্ব নয়, স্বনির্ভর হতে হবে: ড. ইউনূস
পাকিস্তানে সেনা কনভয়ে হামলা, নিহত ১১
শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা