নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জীনাত রেহানা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ষাটের দশকের এ শিল্পীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জীনাত রেহানার ব্যক্তিগত পরিচর্যাকারী শাম্মী আক্তার। ডা. রোশনি জাহানের তাত্ত্বাবধানে এ শিল্পীর চিকিৎসা চলছে।
জীনাত রেহানার পরিচর্যাকারী শাম্মী বলেন, ‘তিনি (জীনাত রেহানা) প্রায় ১০ দিন আগে ভীণষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিন-চারদিনের মধ্যে তিনি বাসায় যেতে পারবেন।
তার সেই সময়কার কণ্ঠ শুনে বিখ্যাত সুরকার আবদুল আহাদ ও সমরদাস প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যান। তবে জীনাত রেহানাকে গানের জগতে আসার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন তার খালা কণ্ঠশিল্পী আঞ্জুমান আরা বেগম।
১৯৬৪ সালে জীনাত রেহানা বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। বেতারে ১৯৬৮ সালে জীনাত রেহানার ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি রেকর্ড করা হয়। এটি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে শ্রোতাদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার মা জেব-উন-ন্নেসা জামাল ছিলেন গীতিকার ও লেখক। ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবে গান শুরু করেন জীনাত রেহানা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে মাঝে তাকে গানে কম দেখা যেত।
জীনাত রেহানার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলতো কি নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাকন দিয়ে ডেকেছিলেম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরবো না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’, ‘আমায় যদি ডাকো কাছে’, ‘কণ্ঠবীণা’, ‘মনে রেখো, স্মৃতি থেকে’। তিনি ‘অভিশাপ’ শিরোনামের একটি সিনেমায় গেয়েছিলেন। ‘কে তুমি এলে মোর জীবনে’কথার গানটি জনপ্রিয় হয়েছিল। আধুনিক ও আধ্যাত্মিক গানের পাশাপাশি করছেন ছোটদের গান। জীনাত রেহানার স্বামী প্রায়াত টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ।
আরও পড়ুন
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মানুষের মস্তিষ্ক কতটা দ্রুত কাজ করে
অগ্নিকান্ডে মিঠাপুকুরের নয়ন একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার