জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য বন্দোবস্ত দেয়া জমির ওপর আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের অভিযোগ করেছে ভূমিহীন সমিতি। সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুমিহীনরা। তারা অবিলম্বে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভূমিহীন সংগঠনের প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের মেছট শাপলা শালুক আদর্শ গুচ্ছ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করে সরকার। খাস জমির বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী ১৯৯৬ সালের ৩ অক্টোবর সরকার এই গুচ্ছ গ্রামে ৬০টি পরিবারের মধ্যে ৯৯ বছর মেয়াদী ২২.৮০ একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়। এতে প্রত্যেক পরিবার পায় ৩৮ শতাংশ করে জমি। গুচ্ছ গ্রামে বাসকরা নারী-পুরুষরা চাষাবাদ এবং দিনমজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সম্প্রতি সেই জমির ওপর নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রশাসন জমির লাল নিশান টাঙিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মিত হলে ৬০টি ভূমিহীন পরিবার খাদ্য সংকটে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, ভূমিহীন সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, দেন নাজির হোসেন, আবেদা বেগম, নিজেরা করি রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মামুনুর রশিদ।
এব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সংবাদ সম্মেলনে ভূমিহীন দেয়া তথ্য সঠিক নয়। তারা বরাদ্দ পাওয়া জমির বাইরেও বিশাল এলাকা অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে। সরকার খাস জমির ওপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্দেশনা দিয়েছে। ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেয়া জমির বাইরে আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হচ্ছে।
সাঘাটায় ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেয়া জমির ওপর আশ্রয়ণ প্রকল্প!

আরও পড়ুন
টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ আদায়ে ১৭ কিশোর পেল বাইসাইকেল
দেশে এই মুহুর্তে দরকার বিচার ও সংস্কার: নাহিদ ইসলাম
এসআই পরিচয়ে থানায় তরুণী, কনস্টেবলকে ভুলে ‘স্যার’ ডেকে ধরা