ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ রোববার (৫ অক্টোবর) সাবেক ভূমিমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, তার স্ত্রী রুকমিলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ছয়টি ফ্ল্যাট ও নয়টি মার্কেট ভবন ক্রোকের নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানান।
দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাত সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানের সময় তাদের নামে থাকা স্থাবর সম্পদের তথ্য উদ্ধার হয়। এছাড়া তদন্তে জানা যায়, এসব সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তর হতে পারে। তাই তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ ক্রোকের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের নিজাম রোডে একটি, পাঁচলাইশে একটি, লালখান বাজারে দুটি, পূর্ব নাসিরাবাদে একটি ও চট্টেশ্বরী রোডে একটি ফ্ল্যাট ক্রোক করা হবে। একই সঙ্গে আগ্রাবাদের আখতারুজ্জামান সেন্টারের মার্কেট, চট্টগ্রামের সার্সন রোডের একটি মার্কেট ও কালুরঘাট শিল্প এলাকায় ছয়টি মার্কেট ভবনও ক্রোকের আওতায় এসেছে।
এর আগে, গত বছরের ১৭ অক্টোবর আদালত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নামে থাকা দেশ-বিদেশের ৫৮০টি বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, জমিসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি ব্যাংকের হিসাব ও বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর ৫ মার্চ তার ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেন আদালত। ৯ মার্চ সাইফুজ্জামানের ১০২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ৯৫৭ বিঘা জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রেড নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দেন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
ঢাকায় ডেঙ্গুতে ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮১
সাইবার হামলার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
সাবেক অতিরিক্ত সচিব হারুনের জমি-ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ