November 4, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 3rd, 2025, 6:26 pm

সারিয়াকান্দিতে ক্ষতিগ্রস্ত রোপা আমনের মাঠ পরিদর্শনে কৃষি বিভাগ

সারিয়দকান্দি বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় টানা বৈরী আবহাওয়া,অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে পাকা সোনালি আমন ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।ধান ঘরে তোলার শেষ মুহূর্তে বৃষ্টির কারণে এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার হাজারো কৃষকরা।পরিশ্রমে ঘাম ঝরিয়ে ফলানো ফসল নষ্ট হয়ে যেতে দেখে তারা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে ক্ষতির পরিমাণ যেন অনেকটা কম হয় এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত রোপা আমন ধান,আলুসহ শাক সবজির ফসলের মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এসময় কৃষকদের সাথে নিয়ে আক্রান্ত হেলেপড়া কয়েকটি ধান গাছকে এক সাথে বেধে দাঁড় করানোর পরামর্শ দেন উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।

রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জিন্নাহ্ আলী। এসময় তার সাথে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

হাটশেরপুর ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল করিম বলেন,ধান কাটা শুরু করতেই এমন আবহাওয়া দেখা দিল। বাতাসে ধান পড়ে গেছে মাটিতে, এখন কেটে ঘরে তোলা খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে নিচু জমির ফসল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী,গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে উপজেলার ১৩ হাজার হেক্টর আমন ধানের মধ্যে ২৬০ হেক্টর আমন ধান, দুই হাজার ৫৯০ হেক্টর মরিচের মধ্যে ৪০ হেক্টর মরিচ,৩০ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ১০ হেক্টর ভুট্টা, এক হেক্টর পেঁয়াজ, ১৫ হেক্টর সরিষা, পাঁচ হেক্টর মসুর, পাঁচ হেক্টর খেসারি এবং দুই হেক্টর জমির চিনাবাদাম অতিবৃষ্টির কারণে পানিতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, কৃষকদের গত কয়েক দিনের টানা বর্ষনে রোপা আমন ধান ক্ষেতের যেসব ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে, সেগুলি কৃষকদের নিয়ে লজিং অপ করার বা হেলে পড়া কয়েকটি ধান গাছকে এক সাথে বেধে দাঁড় করানোর পরামর্শ প্রদান করেন। সেই সাথে রোপা আমন ধান ও আলুর ক্ষেতের পানি নিষ্কাশন,পচন রোধে স্প্রে করা ও যেসব ধানের শীর্ষ সোনালী আকার বা চাল এসেছে সেগুলো মাড়াই করার পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও কৃষককে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান। এতে করে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমে আনা যাবে।