কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সার আমদানিতে বিদ্যমান সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে বৈশ্বিক বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সার আমদানি করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত এক বছরে মন্ত্রণালয়ের সাফল্য, অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের রেখে যাওয়া সারের বকেয়া পরিশোধ করে চাহিদানুযায়ী সার আমদানি ও সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে দেশে কোথাও সারের ঘাটতি দেখা দেয়নি। আগামী মৌসুমেও ঘাটতি এড়াতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থানের পর দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত মাসে। এ সময়ের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার বিকাশে সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কৃষিকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও লাভজনক খাতে রূপান্তর করা সরকারের অগ্রাধিকার ছিল। গত এক বছরে এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ধান, গম, ভুট্টা, ডাল, তেলবীজ, শাকসবজি এবং ফলমূল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া, গত বছরের আগস্টে দেশের ২৩টি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও সময়মতো বীজ, সার ও প্রণোদনা সরবরাহের ফলে কৃষকরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। এর ফলস্বরূপ, গত বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ১৫ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়েছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে হারের বেদনায় বাংলাদেশ
সাইবার হামলার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
জুলাই সনদ স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা