July 31, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 30th, 2025, 7:54 pm

সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা, পুঁজিবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত

‘আইএফআইসি আমার বন্ড’-এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা এবং তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের দুজনের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে পুঁজিবাজারে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৯৬৫তম কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে। পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড ২০২৩ সালের ৪ জুন ১৫০০ কোটি অভিহিত মূল্যে এবং ১০০০ কোটি টাকা ইস্যু মূল্যে অনুমোদন দেয় তৎকালীন বিএসইসি। শ্রীপুর টাউনশিপ নামে একটি কোম্পানি নিবন্ধিত হওয়ার পরপরই তারা বন্ড ইস্যুর আবেদন করে। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩৫০ কোটি টাকা এবং মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে ২৪৮ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়নের জন্য উত্তোলন করা হয়। কমিশনের কাছে যা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি, জামিনদার ছিল। কিন্তু  ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। সালমান এফ রহমান ওই সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘বেক্সিমকো সিকিউরড কনভার্টিবল অর রিডিমেবল অ্যাসেট-ব্যাকড গ্রিন সুকুক’ নামে একটি ৩০০০ কোটি টাকা পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ড ২০২১ সালের ২৩ জুন অনুমোদন হয়। এ বন্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ২০২১ সালের ১৭ জুলাই অনুমোদিত পাঁচশ কোটি টাকার সুকুকের মধ্যে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে ৩২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিএসইসি আরও জানায়, অনিয়মের ঘটনায় বেক্সিমকোর পরিচালক নাসিমা রহমান, ড. শামসুন আহমেদ এবং এ এম আহসান উল্লাহকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকের তৎকালীন মনোনীত পরিচালক নাজমুস সাকিব, গোলাম মোস্তফা, জাফর ইকবাল, কামরুন নাহার আহমেদ ও সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক শুদ্ধাংশু শেখর বিশ্বাসকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া রেটিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডকে (ইসিআরএল) ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সুকুকের গ্রিন ভ্যালিডেশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইসিআরএল এবং নিরীক্ষক এমজে আবেদিন অ্যান্ড কো. চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের ভূমিকাও তদন্ত করে দেখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে।