রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন না দেয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে সিইসির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
জোনায়েদ সাকীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া হাইকোর্ট এ মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে রায় দেয়া হয়। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী।
আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছর ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে অবহিত করে। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী উচ্চ আদালতে রিট করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেয়ার আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়।
তিনি জানান, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছর ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আগের সিইসির মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বৃষ্টি ঝরতে পারে টানা কয়েক দিন
চালের বাজারে কঠোর নজরদারি চলছে: খাদ্য উপদেষ্টা
ডেঙ্গুতে এক দিনে বছরের সর্বোচ্চ সংক্রমণ, মৃত্যু ৩ জনের