July 13, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 9th, 2025, 6:26 pm

সিমেবি’র দুই নারী কর্মকর্তা আত্মসমর্পণ, জামিন না মঞ্জুর

সিলেট অফিস:
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দুই নারী কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এই আদেশ দেন। আত্মসমর্পণ করা কর্মকর্তারা হলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেবশ্রী রানী দাস ও তামান্না ফিরোজী। তাঁরা দুজনেই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) লুৎফুল কিবরিয়া শামীম বলেন, ‘চার্জশিটভুক্ত ২৭ নম্বর আসামি দেবশ্রী রানী দাস এবং ৪৪ নম্বর আসামি তামান্না ফিরোজী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’ এর আগে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মেলে। তদন্ত প্রতিবেদনে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ উঠে আসে।
পরে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান দুই আসামি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে কর্মরত আরও ৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উল্লেখ করা হয়।
আসামিদের তালিকায় রয়েছেন, ফাহিমা খানম চৌধুরী, অঞ্জন দেবনাথ, মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. গোলাম সরোয়ার, শমসের রাসেল, গাজী মো. ফারাজ, রিংকু দাস, আতিক শাহরিয়ার ধ্রুব, খালেদা চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌসী, সাজু ইবনে হান্নান খান, বেলাল উদ্দিন, লোকমান আহমেদ, চৌধুরী জুলফিকার খালেদ, মো. মোশারফ হোসেন, হালিমা বেগম, সুরঞ্জিত চন্দ্র তালুকদারসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়টি গত বছর ইউজিসি তদন্ত শেষে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হলে বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন।