অনলাইন ডেস্ক :
পূর্ব সিরিয়ার দেইর এজোর প্রদেশের ধেইবান এলাকায় আসাদ সরকারের অনুগত যোদ্ধা এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মধ্যে দুই দিনের ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বলেছে, সোমবার বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা এ অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী শাসক বন্দুকধারীদের তাড়িয়ে দিয়েছে। এসডিএফ এবং সশস্ত্র আরব উপজাতিদের মধ্যে ১০ দিনের লড়াইয়ে এই মাসে একই এলাকায় কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হয়েছেন। ব্রিটেনভিত্তিক ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ বলেছে, সরকারপন্থী যোদ্ধারা ইউফ্রেটিস নদী পার হওয়ার পর সর্বশেষ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে ২১ জন শাসক ও তিনজন এসডিএফ যোদ্ধা। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন এক নারীও। এসডিএফ বলেছে, তাদের অবস্থানে ‘নির্বিচারে বোমাবর্ষণের আড়ালে’ অনুগত যোদ্ধারা ইউফ্রেটিস নদী পার হয়। পরে এসডিএফ যোদ্ধারা নদীর ডান তীরে বোমাবর্ষণ শুরু করে। এই এলাকাটি শাসক বাহিনীর সমর্থনে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে। অবশ্য উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর সিরিয়ার এসডিএফ নিয়ন্ত্রণের মূল এলাকায় কুর্দিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে তারা যে বেশ কিছু এলাকা দখল করেছে, সেখানে আরবরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সিরিয়ার অভ্যন্তরে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের।
ব্রিটেনভিত্তিক এই পর্যবেক্ষক সংস্থার মতে, আগের সংঘর্ষের পর সরকারনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পালিয়ে যাওয়া কিছু আরব যোদ্ধা এই সপ্তাহের হামলায় অংশ নিয়েছে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াশিংটনের প্রধান সিরিয়ান মিত্র ছিল এসডিএফ। ২০১৯ সালে ইউফ্রেটিস নদীর বাম তীরে জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে পরাজিত করা হয়। সূত্র : আরব নিউজ
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য