সিলেট অফিস:
সিলেটে অবৈধভাবে টিলা কাটার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে বিএনপির নেতাসহ পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারগাঁও মৌজায় টিলা কর্তনের ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- যুক্তরাজ্য পোর্টসমাউত সিটি শাখা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহ এম এ হক, তার একান্ত সহযোগী আশফাক আহমেদ, এয়ারপোর্ট থানার ডলিয়া এলাকার আলাউদ্দিন হাসু, টিলারগাঁও এলাকার সুহেল আহমদ ও জালালাবাদ থানার বড়গুল এলাকার সিদ্দেক আলী।
টিলা কাটার স্থান পরিদর্শন শেষে রোববার (২৯ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা স্বাক্ষরিত আদেশে ‘পরিবেশগত ক্ষতিসাধনের জন্য শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য’ এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের আগামী ৬ জুলাই সকাল ১০টায় শুনানিতে হাজির হতে নির্দেশ প্রদান হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ‘কুমারগাঁও মৌজায় টিলা ভূমি কর্তনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতিসাধন হয়েছে; যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর (সংশোধিত ২০১০) ধারা ৬(খ) পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব, উল্লেখিত অপরাধের জন্য বর্ণিত আইনে কেন আপনাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালত কিংবা বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আগামী ৬ জুলাই সকাল ১০টায় অধিদপ্তরে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো। ব্যর্থতায় একতরফা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, ‘আমরা জমির মালিকসহ টিলা কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছি। এরই মধ্যে কেটে ফেলা টিলা পরিমাপ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন
কুলাউড়া পৌরসভার ৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
কুলাউড়ার জুনেলকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ আদালতের
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইমরান, সম্পাদক মুহিত, সাংগঠনিক বদরুল নির্বাচিত