সিলেটে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের : আসামি ৮০

সিলেট অফিস  :

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে

এএসআই আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ট্রাকশ্রমিক নেতা মাহফুজকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন,পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন,বালু ও পাথরবোঝাই ২টি ট্রাক আটক করে বালু-পাথর ও গাড়ির কাগজপত্র পুলিশ দেখতে চাইলে চালকরা সেটা দেখাতে পারেনি। পরে ওই চালক ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদকে খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর মাহফুজের নেতৃত্বে ২ গাড়ি শ্রমিক এসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে গাড়ি নিয়ে যায়। তারা চাচ্ছে এখানে যাতে কোনও পুলিশ চেকপোস্ট না থাকে। পুলিশ কেন তাদের কাছে টাকা চাইবে? সাদাপাথর লুট ও অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে পুলিশ কাজ করছে।’

উল্লেখ্য,রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনের চেকপোস্টের সামনে  এ হামলার

ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।

উপজেলা ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদের নেতৃত্বে ট্রাকশ্রমিক নেতা ও শ্রমিকরা এ হামলা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হামিদ, কনস্টেবল আজিজুর রহমান, দীপংকর হাজং, শহীদ আহমেদ ও মাসেক মিয়া আহত হন।

এ বিষয়ে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমরা চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে বালু নিয়ে একটি ট্রাক আসে। তাকে বৈধ বালুর কাগজপত্র দেখাতে বললে সে দেখাতে পারেনি। পরে আমরা ট্রাকটিকে আটকে রাখি। পরে দেখলাম ওই চালক কাকে ফোন দিচ্ছে আর এর ১৫-২০ মিনিট পরে ট্রাকশ্রমিক নেতা মাহফুজের নেতৃত্বে একদল লোক এসে আমাদের ওপর হামলা করে। সেখানে আমরা ৫ জন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিই। উপজেলার লিজবহির্ভূত ধলাই নদীসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ও অবৈধ পাথর বিক্রি করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেগুলো এই চেকপোস্টের মাধ্যমে আটক করা হয়। সাদাপাথর লুট ঠেকাতে এই অভিযান চলমান।’