January 1, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, November 17th, 2024, 8:07 pm

সিলেটে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার মতবিনিময়

সিলেট প্রতিনিধি :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ত্রুটিপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে। দেশকে উন্নত করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে গতিশীল করতে হবে। এজন্য প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। রবিবার সিলেটে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার সবচেয়ে অপরিহার্য বিষয় প্রাথমিক শিক্ষা উল্লেখ করে উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, জাতি সবচেয়ে ধনী হচ্ছে জনশক্তিতে। এ আপন সম্পদ কীভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায় সে বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই কোনদিন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদি নেওয়া হত তাহলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষা এ অবস্থায় থাকত না।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্তরের বইগুলোর ক্ষেত্রে কিছু কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন করতে হয়েছে। সেকারণে বইগুলো তৈরিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে বছরের শুরুতেই প্রাথমিক স্তরের সকল পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের বিতরণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকবৃন্দের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি অযৌক্তিক নয় উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে তাঁদের দশম গ্রেড দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান লক্ষ্য প্রধান শিক্ষকবৃন্দের দশম গ্রেড নিশ্চিত করার পাশাপাশি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃজন করা। সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯ হাজার ৫৭২টি পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সেখানে সহকারী শিক্ষকবৃন্দ শতভাগ পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হবেন।

বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরো বলেন, যদি নতুন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে প্রতিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে, বাস্তবিক অর্থেই সব ক্ষেত্রে এর পুরোপুরি ব্যবহার হবে না। ফলে নিজেদেরই কম খরচ করে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়ার মত লাগসই কিছু ভাবতে হবে।

পরে উপদেষ্টা নগরের একটি হোটেলে ‘ওয়ার্কশপ অন ডিজাইনিং ফর দ্যা নেক্সট সেক্টর প্রোগ্রাম পিইডিপি-৫’ –এ অংশগ্রহণ করেন।