৮০ ভাগ নয়, শতভাগ পেনশন, নিয়োগবিধি কার্যকর করে গ্রেড পরিবর্তন, প্রমোশন ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণের দাবীতে সিলেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আহবায়ক কমিটির সভায় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শনা ও ২০০৫ সালের উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পরিপত্র অনুসারে পেনশন প্রদান না করা হলে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন সিলেটের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় সিলেটের স্থানীয় একটি অভিজাত হোটেলে সিলেটের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর সরকারী কর্মচারীদের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, গত ৫ নভেম্বর ২০২১ইং তারিখে অর্থ মন্ত্রনালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এতে শতভাগ পেনশনের পরিপত্রে ৮০ ভাগ পেনশন ও চাকুরীতে যোগদানের তারিখ থেকে চাকুরীকাল গণনা না করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত তারিখ হতে চাকুরীকাল গণনা নিদের্শনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করে। তারা অবিলম্বে এই পরিপত্র প্রত্যাহারের দাবী জানান।
তারা বলেন, সারা জীবন চাকুরী করে শতভাগ পেনশনের টাকা পাওয়ার অধিকার হরণ করেছে অর্থ মন্ত্রনালয়। ইতিমধ্যে ২০০৮সালের ২৪ মার্চ এবং ২০১১সালের ২২ সেপ্টেম্বর অনুরূপ দুটি চিঠি প্রদান করা হয়। দুটি চিঠি মহামান্য হাইকোর্ট বাতিল করলেও নতুন ফন্ধিফিকির করে কৌশলে কর্মচারীদের হয়রানী করা হচ্ছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৮০ শতাংশ পেনশনের পরিবর্তে শতভাগ পেনশন প্রদানের পত্র অর্থ মন্ত্রনালয় প্রেরণ করলে, কৌশলে পূণরায় অর্থ মন্ত্রনালয় এ সুপারিশ প্রত্যাখান করেন। এতে সারাদেশের উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের পেনশন প্রাপ্তিতে চরম বাধার সৃষ্টি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বাধা দূর করা না হলে, কর্মচারীরা লাগাতার কর্মসূচী প্রদানে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার রওশন আলী, সিনিয়র ফার্মাসিষ্ট মোঃ নজরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা রিতা চক্রবর্তী, চন্দা পোদ্দার, বীনা পানি নাথ, পরিবার পরিকল্পনা সিনিয়র পরিদর্শক আব্দুল বারী, নিকুঞ্জ কুমার নাথ, অনূপ কুমার দেব, পরিবার কল্যাণ সহকারী রাশেদা বেগম রীনা, শিরিয়া বেগম, শিল্পী বেগম, রিনা বেগম, নূরজাহান বেগম, হোসনা বেগম, কবেরী রানী দাশ, বিলকিছ আক্তার, শুকতা রানী পাল, শ্যামলী রাণী দে, সুমী রাণী দে, হুসনা বেগম, সবিত্র চন্দ, মুন্না দে, ঝরনা বেগম, শ্রিপরা চক্রবর্তী, ইয়াছমিন আক্তার, সুলতানা আক্তার, অঞ্জলী রাণী পাল প্রমুখ।
সভায় সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায়ের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলা একত্রিত হয়ে একসাথে সিলেট বিভাগে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সকল কার্যক্রম আগামী জানুয়ারী মাসে লাগাতার বন্ধ ঘোষনার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
আরও পড়ুন
জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের আহবায়ক ইকবাল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজ
বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরাম সম্মাননা পেলেন শামছুল আলম
চাকরি হারাতে পারেন ৫৪ লাখ বাংলাদেশি