সিলেট অফিস:
পর্যটন সমৃদ্ধ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সড়ক যেন মরণফাঁদ। ২৭ কোটি টাকায় ১০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার চলছে ঢিমেতালে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পর্যটক ও উপজেলাবাসীদের। কাজ পাওয়া ঠিকাদার বিক্রি করে দিয়েছেন কাজ। সাব-ঠিকাদার করছে কাজ। এমন পরিস্থিতিতে এলজিইডি’র প্রকৌশলী শোনালেন কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি।
খানাখন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, পর্যটক, স্থানীয়দের বেহাল সড়ক দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।। চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন চালক ও যাত্রীরা।
প্রায় ২৪ কিমি দীর্ঘ এই সড়ক আড়াই বছরে সাতবার বন্যায় ডুবেছে। এতে সাতটি স্থানে গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সালুটিকর বাজার থেকে গোয়াইনঘাট সদর, নয়াগাঁও-নন্দীরগাঁও ও তোয়াকুল বাজার এলাকাগুলোতে বেহাল দশা। শিক্ষার্থী, পরিবহন ব্যবহারকারীরা এ রাস্তা দিয়ে নিরাপদ চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে ।
প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে রাস্তার ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ চলছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। দিলওয়ার নামের বরিশালের এক ব্যক্তি হচ্ছে রাস্তার মূল ঠিকাদার। ফয়সল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তিনি সাব ঠিকাদার নিয়োগ করে রাস্তার কাজ করাচ্ছেন।
ঠিকাদার ফয়সল জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ২/৩ মাস কাজ বন্ধ ছিলো। তবে, সংস্কার কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
জানুয়ারি, ২০২৫-এ এই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও ৫০ ভাগ কাজও শেষ হয়নি। পুনরায় সিডিউল নির্ধারণ করে ডিসেম্বর, ২০২৫ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানালেন সিলেট এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী এ কে এম শহিদুল ইসলাম।
২০২৪ ও ২০২৫ সালের বন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ৩১২ কিমি সড়কের ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সড়ক ও কালভার্ট।
আরও পড়ুন
কুড়িগ্রামে টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত
সাপাহারে আবারো এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
রংপুর জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আগামী ১২ই অক্টোবর রোববার থেকে সাড়ে ৮ লাখ শিশু-কিশোরকে টাইফয়েড টীকা দেয়া হবে