September 16, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, September 15th, 2025, 5:27 pm

সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের মহাপরিকল্পনা একের পর এক কূপে গ্যাসের সন্ধান

সিলেট :

দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়াতে ২০২৮ সালের মধ্যে ৬৯টি কূপ খনন এবং ৩১টি কূপ পুনঃখননের একটি মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড, বাপেক্স এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি। এরই অংশ হিসেবে এক দশকের জন্য গ্যাসের রিজার্ভ হাতে রেখে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়াতে একের পর এক কূপ খনন ও পুনঃখননে ব্যস্ত সময় পার করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ সাফল্য রশিদপুর-৩ নম্বর কূপ। দীর্ঘদিন প্রায় বন্ধ থাকা এই কূপে পুনঃখননের মাধ্যমে নতুনভাবে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই কূপটি থেকে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ শুরু হবে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, ‘পরীক্ষায় গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। কিছু টেকনিক্যাল কার্যক্রম চলমান আছে, শিগগিরই গ্রিডে যুক্ত হবে।’

বর্তমানে কোম্পানিটি দৈনিক ১৪ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে। সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে তা ১৬ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কোম্পানির প্রত্যাশা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অতিরিক্ত সাড়ে ৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এরই মধ্যে হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। পাশের আরেকটি কূপের খনন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে ছয়টি কূপ থেকে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং আরও দুটি কূপ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে।’

সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে তিনটি গ্যাস কোম্পানিকে মিলে ৫০টি কূপ খনন ও পুনঃখননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের অধীনে রয়েছে ৮টি নতুন কূপ খনন ও ৮টি কূপ পুনঃখনন। এই প্রকল্পের বেশির ভাগই এখন শেষ পর্যায়ে।

সিলেট বিভাগের হরিপুর, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এসব গ্যাসক্ষেত্রে বর্তমানে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুত রয়েছে। এই রিজার্ভ দিয়ে আগামী ৯ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যমান মজুত নির্ভরতা ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ জন্য এখনই নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিতে হবে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম ফরহাদ হাওলাদার বলেন,

‘যশোর অঞ্চলের হিং জোনে এখনও অনুসন্ধান শুরু হয়নি। অথচ সেখানে গ্যাসের সম্ভাবনা বেশি। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালানো দরকার।’