May 1, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, April 30th, 2025, 8:12 pm

সিলেট প্রেসক্লাবে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর সংবাদ সম্মেলন : ভূ-সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

এস এ শফি, সিলেট: বড় ভাইয়ের হামলা মামলায় অতিষ্ঠ সিলেট নগরীর মিরাবাজার ভাইয়ারপাড় এলাকার মৌসুমী ৪২ নম্বর বাসার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী সুয়েব আহমদ। বড় ভাই রফি আহমদ নোমান ও তার জামাতা অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমদকে সাথে নিয়ে সম্পত্তি গ্রাস করার পায়তারা চালাচ্ছেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্তা করছেন। সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তারা নানা কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন।
বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন প্রবাসী সুয়েব আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুয়েব আহমদ বলেন, শাহপরাণ থানার অন্তর্গত খিদিরপুর মৌজার রুস্তমপুর গ্রামে জে এল নং ৬০, বিএস খতিয়ান নং ১২৯৪, ১৮৩, ৭৫৮, ১৫৮৬ বিএস দাগ নং ৫৪৬, ৫৫২ ও ৫৫৫-এ মোট ৫৫ শতক ভূমির খরিদা মালিক তিনি। ওই ভূমি থেকে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী জাহিরা বেগমের কাবিননামায় ১৫ শতক এবং মোহরানার টাকার পরিবর্তে তার স্ত্রী রহিমা বেগমকে সাড়ে ১৮ শতক ভূমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। পরবর্তিতে জাহিরা বেগমের টাকার প্রেেয়াজনে কাবিনের ওই ভূমিটুকু পুনরায় তার কাছে বিক্রি করে দেন। এছাড়া একই মৌজায় ২২ শতক ভূমি তার বড় ভাই রফি আহমদ নোমান ও ভগ্নিপতি আব্দুল ওয়াহিদ তার কাছে বিক্রি করেছেন।
সুয়েব আহমদ বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করায় সরল বিশ্বাসে ওই ভূমি দেখাশুনার জন্য বড় ভাই রফি আহমদ নোমানকে আমমোক্তার নিয়োগ করেন। পরে এই ভূমি নামজারী করার জন্য বড় ভাই রফি আহমদকে তাগিদ দিলেও তিনি নামজারী না করায় তার সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তিনি বাধ্য হয়ে ২০২৩ সালের ২৪ মে  দেশে এসে আমমোক্তারনামা বাতিল করে যুক্তরাজ্যে ফিরে যান। সম্প্রতি দেশে এসে ভূমির খাজনা পরিশোধ ও কিছু ভূমির নামজারী করার উদ্দেশ্যে সিলেট সদর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখতে পান, ক্রয়কৃত ভূমি তার বড় ভাই জাল কাগজের মাধ্যমে মেয়ের জামাই অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমদের নামে নামজারী করিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তারা রেজিষ্ট্রার্ড সাফ কবালা দলিল বানিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে স্বত্ত মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত ভূমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার ভ্ইা ও ভাইয়ের মেয়ের জামাই আদালতের আদেশ অমান্য করে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এই ভুমি দখলের উদ্দেশ্যে অন্তত ৫ বার চেষ্টা চালিয়েছে। শাহপরাণ থানার এসআই খুরশেদ ও দুজন বহিরাগত ভাড়াটিয়া মহিলাকে সাথে নিয়ে নির্মিত ঘর দখলের পায়তারা চালিয়েছে। তিনি এসব বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তাদের পরামর্শে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। শাহপরাণ থানায়ও আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শাহরাণ থানার এসআই খুরশেদ প্রভাবিত হয়ে আসামি পক্ষকে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সুয়েব আহমদ বলেন, ইতিমধ্যে ভূমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য তিনি সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে নামজারি মোকদ্দমা দায়ের করেছেন। সুয়েব আহমদ অভিযোগ করেন তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে গত ২০ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে বড় ভাই রফি আহমদ মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনি জায়গার মূল্য বাবদ ৭৭ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।  যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই তারিখে আমার ব্যাংক একাউন্টে এমন কোন লেনদেন হয়নি, কিংবা নগদ কোন টাকাও তিনি আমাকে প্রদান করেননি।
রফি আহমদ নোমান এবং অ্যাডভোকেট ফরহাদ আহমদ মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে তাকে একাধিক মামলায় আসামি করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় জানমালের নিরাপত্তায় তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।