July 5, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, April 14th, 2025, 2:24 pm

সিলেট শাহী ঈদগাহ মাঠে বৈশাখী এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন

এস এ শফি, সিলেট: সিলেটে বৈশাখী এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ মাঠে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। সিলেট বিসিকের উদ্যোগে আয়োজিত ও সিলেট জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ মেলায় প্রসাধনসামগ্রী, খেলনা, খাবার দোকান ও জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্যের স্টল বসেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এর সভাপতিত্বে ও  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো: রেজা উন নবী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বৈশাখী এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার সার্বিক বিষয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিসিক সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক ম. সুহেল হাওলাদার।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এধরনের মেলা বেশি করে আয়োজন করতে হবে। মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এতে দেশ লাভবান হবে এবং ক্রেতা-বিক্রেতা উপকৃত হবে। বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়ে কেউ বেকার থাকতে চায় না।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য সামগ্রীর প্রচার ও প্রসার বাড়াতে হবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর)মোঃ শাহরিয়ার আলম, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসন সিংহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নুরের জামান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা,  সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ,তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির কেন্দ্রীয় নেত্রী অনিতা দাশ গুপ্তাসহ প্রমূখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, এবারই একসাথে আয়োজন করা হয়েছে বৈশাখী এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা। তাই এ মেলাটি হবে বাঙালির ঐতিহ্যের স্মারক। মেলাটি হবে উৎসব মূখর। মেলায় আগতদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। মেলায় জুয়াসহ কোনো ধরনের নেতিবাচক ঘটনা ঘটানো যাবে না। এ মেলার মাধ্যমে স্থানীয় বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের দিকে যাত্রা করবেন উদ্যোক্তারা। এতে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন হবে।