নীলফামারী প্রতিনিধি:
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজে ড্রেজার সংকটের কারণে সিল্ট ট্রাপ থেকে পলি অপসারণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতি বছর নদীর পানির সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পলি জমে সিল্ট ট্রাপ ভরাট হয়ে পড়লেও কার্যকর ড্রেজার না থাকায় সেচ ব্যবস্থা এখন হুমকির মুখে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া যান্ত্রিক বিভাগে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একটি পুরনো ড্রেজার মেশিন চালু ছিল। ওই বছর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি অচল হয়ে যায়। এরপর থেকে নতুন কোনো ড্রেজার কেনা সম্ভব হয়নি। ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সরকারি পর্যায়েও নেদারল্যান্ডস বা অন্য কোনো দেশ থেকে নতুন ড্রেজার আমদানি করা যায়নি।

এর ফলে স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘বোমা মেশিন’ বা লোকাল ড্রেজার ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে পলি অপসারণের কাজ চলছে। তবে এসব যন্ত্রে সমানভাবে পলি কাটা সম্ভব না হওয়ায় কোথাও গভীর, কোথাও অগভীরভাবে কেটে পানি প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন নির্বাহী প্রকৌশল বলেন, “লোকাল ড্রেজার দিয়ে মানসম্মতভাবে পলি অপসারণ করা যায় না। এটি এলোমেলোভাবে কেটে দেয়, যা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়।”

আরও পড়ুন
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের
চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ল পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ ‘পিএনএস সাইফ’
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত