অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে গৃহযুদ্ধের ফলে মানবিক সংকট কলেরাসহ অন্যান্য সংক্রমণও আরো বেড়ে গেছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত কলেরা রোগে এই অঞ্চলে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) একজন বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। ডাব্লিউএইচও কর্মকর্তা মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, ১১ হাজার ৩২৭ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু জ¦র এবং মেনিনজাইটিস সংক্রমণও বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এই সংখ্যা আমরা প্রতিবেদনে যা উল্লেখ করেছি তার চেয়ে বেশি হতে পারে।’
দেশটিতে ভারি বর্ষণ এবং বন্যা স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাকে ব্যাহত করছে। ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ¦রের মতো রোগের বিস্তার তাই বেড়েছে। সুদানে চলমান সংঘর্ষের কারণে বেশির ভাগ হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য সুবিধাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ অপরিহার্য স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসাকর্মীরা নিহত বা আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো এবং কর্মীদের ওপর এমন আক্রমণে দেশটির জনগণ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) সতর্ক করেছে, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং কর্মীদের ওপর আক্রমণ মারাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে খাদ্যসংকট। সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে গত ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালের এপ্রিলে সহিংস বিরোধে জড়ায় সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে। এ যুদ্ধ এরইমধ্যে পার করেছে এক বছর। এতে নিহত-আহত হয়েছে হাজারো মানুষ। লড়াই এখনো চলছে। প্রায় পাঁচ কোটি জনগণের দেশ এখন দাঁড়িয়েছে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। সূত্র : রয়টার্স
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য