কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
সুদানে শান্তি মিশনে নিহত কুড়িগ্রামের দুই সেনা সদস্যের লাশ তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় দুই সেনা সদস্যের লাশ সামরিক হেলিকপ্টারে জেলার উলিপুর উপজেলার তেঁতুলতলা হেলিপ্যাডে অবতরণ করা হয়।
পরে দুটি এ্যাম্বুলেন্সে: মমিনুলের মরদেহ গ্রামের বাড়ি উলিপুরের উত্তর পান্ডুল গ্রামে আর শান্ত মন্ডলকে তার গ্রামের বাড়ি রাজারহাট উপজেলার ছাট মাধাই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিশনে নিহত দুই সেনা সদস্যের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়।
উলিপুর উপজেলার পান্ডুল এলাকার নিহত মমিনুল ইসলামের বন্ধু সুমন জানান, মমিনুল ইসলাম অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিল। তার সাথে হেসে খেলে বড় হয়েছি। সে সুদানে গিয়েছিল মিশনে জীবিত অবস্থায় গিয়েছিল কিন্তু লাশ হয়ে ফিরে আসতে হল এটা ভাবতেই খুব কষ্ট লাগে। আমি মমিনুলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
নিহত সৈনিক মমিনুল ইসলাম ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরে মিমনে যোগ দেন। দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি। মমিনুলের মৃত্যুতে তার বাড়ীসহ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে রাজারহাট উপজেলার শান্ত মন্ডল এর প্রতিবেশী মাইদুল ইসলাম জানান, এভাবে শান্ত মন্ডল এর মরদেহ চলে আসবে আমাদের এলাকায় আমরা কল্পনা করতে পারিনি। সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে গিয়ে তার পরিবারসহ আমরা খুব গর্ববোধ করতাম কিন্তু আজ তার মৃত্যুতে সবাই নির্বাক। আমরা সকলেই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
নিহত শান্ত মন্ডল ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। এরপর চলতি বছরের নভেম্বরে শান্তি মিশনে সুদানে যান। সেখানে বিদ্রোহীদের বোমার আঘাতে প্রান হারান তিনি। দুই বছর আগে দিলরুবা আক্তার বৃষ্টির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় শান্ত। বর্তমানে বৃষ্টি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায় পারিবার।

আরও পড়ুন
হোমনায় তিতাস নদীর ভাঙনে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি, হুমকির মুখে বসতবাড়ি!
হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে রাজশাহী বাড়ছে রোগ সাথে ভোগান্তি
বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে ধলাই নদীর বাঁধ ও ব্রিজ