স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলায় মোট ৫৫২ কিলোমিটার রাস্তা এবং আটটি সেতু এবং কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এলজিইডি অফিস সুনামগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৫০০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ৫২ কিলোমিটার।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলায়। গ্রামীণ সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। ছাতকের নোয়ারাবাই-বাংলাবাজার সড়ক, ছাতক-জাউয়াবাজার সড়ক, ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, কৈতক-হায়দরপুর সড়ক, লামা-রসুলগঞ্জ সড়কের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তাহিরপুরের তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক, সীমান্তবর্তী লাউড়ের গড়-কলাগাঁও সড়ক; বিশ্বম্ভরপুরের নিয়ামতপুর-ফতেপুর-আনোয়ারপুর সড়ক, সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাটেরটেক এলাকায় দুটি স্থানে পাহাড়ি ঢলে সড়ক ভেঙে গেছে। দোয়ারাবাজারের দোয়ারাবাজার-বাংলাবাজার সড়ক, দোয়ারাবাজার-সুনামগঞ্জ সড়ক, দোয়ারাবাজার-বোগলা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম সোমবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে, জেলায় এলজিইডির প্রায় ৫০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতি ১৫০ কোটি টাকার। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বন্যায় তাদের ৫২ কিলোমিটার সড়ক কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুনামগঞ্জে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে ১৪ মে থেকে বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ দিয়ে যা বললেন তারেক রহমান
শীতের সবজির বাজারে স্বস্তি, কমেছে পেঁয়াজ,ডিম-মুরগির দামও
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার