উদ্বোধনের মাত্র ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে নারীদের জন্য আলাদা জোন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল প্রশাসন।
এর আগে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ‘সংরক্ষিত এলাকা’ উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ। তার ১০ ঘণ্টার মধ্যে রাত ১০ টায় এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন জেলা প্রশাসন।
সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ‘সংরক্ষিত এলাকা’ উদ্বোধন করার নিউজটি প্রচারের পর সারাদেশে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে সেই নারী পর্যটকরা তা মানতে নারাজ।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নারী ও শিশু পর্যটকদের সুবিধার জন্য এমন বিশেষ জোন করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকরা এমন জোন পছন্দ করছেন না। পর্যটকরা যেমন চাইবেন তেমন পর্যটন হবে কক্সবাজার। কারণ পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা। তাই তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যেহেতু তারা এমন জোন চাচ্ছেন না তাই নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ জোন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে সরকারি ছুটি বা বিশেষ কোন দিনে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এসব পর্যটকদের মধ্যে কেউ পরিবার নিয়ে আসে, আবার কেউ একা সৈকত ভ্রমণে আসে। এদের কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র নারী ও শিশু পর্যটকদের ‘সংরক্ষিত এলাকা’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
উক্ত সংরক্ষিত এলাকাটিতে নারী পর্যটকদের জন্য রয়েছে আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুম। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা নারী পর্যটকদের যাদের ইচ্ছা বা স্বেচ্ছায় ওই ‘বিশেষ এলাকা’য় প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য ১৫০ মিটার এলাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে স্বাচ্ছন্দ্যে সৈকত ভ্রমণ করতে নিরাপদ বোধ করছে নারী পর্যটকরা। এখন নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ জোন বাতিল করা হয়েছে। তাই এই জোনের জন্য যে সকল সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে তা থাকছে না।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
শেরপুর ও ময়মনসিংহে আকস্মিক বন্যা, তলিয়ে গেছে ১৬৩ গ্রাম
আরও বেড়েছে ডিমের দাম, সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী
ময়মনসিংহে মোবাইল বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু