December 19, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, October 27th, 2025, 7:43 pm

সোনাইমুড়ীতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঘুমন্ত সহপাঠী মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক মাদরাসা ছাত্রকে হত্যা করেছে সহপাঠী আরেক ছাত্র। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় নিহতের মা নাছরিন আক্তার বাদী হয়ে ১ জনের নাম উল্লেখ ও ২/৩ অজ্ঞাতনামা করে মামলা (মামলা নং ১৯/২৭-১০-২০২৫) দায়ের করেছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে অভিযুক্ত ছাত্র আবু ছায়েদকে থানা পুলিশ আটক করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখযানুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের উবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। আটককৃত আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখযানুল উলুম মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম উদ্দিন পবিত্র কোরআনের ২২ পারা ও আবু ছায়েদ ২৩ পারা হেফজ সম্পন্ন করে। গত কয়েকদিন আগে নাজিম ও ছায়েদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর থেকে একে অপরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবিবার রাতে ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত আড়াইটার দিকে ছায়েদ একটি ধারালো ছুরি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজিমের গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ সময় নাজিমের গোঙরানির আওয়াজ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে নাজিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুমকে থানায় নিয়ে আসে।

নিহতের মা-নাছরিন আক্তার বলেন আমার ৪ ছেলের মধ্যে এর আগে একজন পানিতে ডুবে মারা যায়, বাকী ৩ ছেলের মধ্যে নাজিম সবার ছোট। তাকে হাফেজ বানানোর জন্য হেফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি আজ সে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরবে এটি কখনো কল্পনাও করিনি। সরকারের কাছে আমার ছেলে হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান খবর পেয়ে সোমবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে নিহতের লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় মামলা হয়েছে।