সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্কুল ছাত্রকে অপহরণ করে চাঁদা দাবী করে দুবৃত্তরা।
এ ঘটনায় অপহৃত আসিফের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় চাঁদাবাজী ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-০১, তারিখ-০৩-০৮-২০২৫ ইং)।
রবিবার (৩ আগস্ট) সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ অপহরণের সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এর আগে শনিবার বিকেলে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ভদ্রগাঁও গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে ও আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আসিফ আকরাম (১৬) এর সাথে সোনাপুর আলী আকবর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন প্রতিযোগির সাথে খেলার মাঠে কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া বিবাদ হয়। ঘটনাটি শিক্ষক নুরনবী উভয়পক্ষকে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। নদনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরেকটি খেলায় অংশগ্রহণ করতে আসিফ তার দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে যাত্রীবাহী সিএনজি যোগে আমিশাপাড়া হতে নদনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে সোনাপুর বাজারের পুর্বপাশে মোড়ে পৌঁছলে একজন মহিলা যাত্রী নামার সময় হঠাৎ করে ৪/৫ টি মোটরসাইকেল যোগে ১০/১১ জন দুষ্কৃতকারী উক্ত সিএনজির পথরোধ করে আসিফকে নামিয়ে মারধর করে একটি মোটরসাইকেলে জোরপূর্বক উঠিয়ে অপহরণ করে কালিকাপুর বাজারগামী একটি বাড়ীতে আটকে রাখে। সেখানে নজরুল ইসলাম আসিফের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে আটকে রেখে তার মা শিরিন আক্তারের কাছে চাঁদা চাইলে তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে এস আই খোরশেদ আলম ও এ এস আই জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার সহ আসামী মোঃ আল মামুন (২০) ও মোঃ মুরাদ (১৯) কে আটক করে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীদেরকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীদেরকে চিহ্নিত পূর্বক গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী।
আরও পড়ুন
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতিতে শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর র্যালি অপপ্রচার করে জামায়াতে ইসলামী কে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না: অধ্যাপক মাওঃ আবুল হোসাইন
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রংপুর নানা কর্মসূচী পালিত হয়
ফেনীতে বিএনপির গণঅভ্যুত্থান দিবসের র্যালিতে দুপক্ষের সংঘর্ষ