December 28, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, September 9th, 2021, 8:57 pm

স্কুল-কলেজের সঙ্গেই খুলছে মসজিদভিত্তিক শিশু-গণশিক্ষা কেন্দ্র

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহামারি করোনা পরিস্থিতি ক্রমে শিথিল হয়ে আসায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইদিন অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বরই মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমও শুরু হচ্ছে। চার শর্ত মেনে সব বয়স্ক ও সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র সপ্তাহে প্রতি সোম ও গত বুধবার খোলা রেখে ক্লাস শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণের লক্ষ্যে সরকার আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সশরীরে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মাধ্যমে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশ্রেণির ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সপ্তাহে ছয়দিন করে পঞ্চম, অষ্টম ও এসএসসি ক্লাস এবং সপ্তাহে একদিন করে অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে এবং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ক্লাস আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। চিঠিতে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নাধীন ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৭ম পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত শিক্ষা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সব বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র এবং সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে চারটি শর্তে সপ্তাহে দুদিন (সোম ও গত বুধবার) খোলা রেখে ক্লাস শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের অনুরোধ জানানো হয়। মানতে হবে যে সব শর্ত-
শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে প্রত্যেককে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আবশ্যিকভাবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে হবে।
ক্লাস চলাকালে অভিভাবকদের শিক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিতি নিরুৎসাহিত করতে হবে।
শিক্ষকদের কোডিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।