অনলাইন ডেস্ক :
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরো মজবুত করতে যাত্রা শুরু করলো ‘চাইনিজ স্পোর্টস ক্লাব।’
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ক্লাবের উদ্বোধন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ক্লাবটি স্বদেশ প্রপার্টিজের সানভ্যালী আবাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং কমার্শিয়াল ইউনিয়নের আওতাধীন ‘গ্রেট ওয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড’ নির্মাণ করেছে, একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়।
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা আর রুটিন জীবনে ঢাকায় বসবাসকারী মানুষজন একঘেয়েমি এক জীবনযাপন করেন। বিনোদন বা খেলাধুলা করার জন্য তাদের জন্য তেমন খোলামেলা মাঠের ব্যবস্থা নেই এই নগরে। ব্যাডমিন্টন, বাস্কেট বল, ভলিবল, ফুটবল ইত্যাদির মতো খেলাধুলা করার মতো নেই পর্যাপ্ত কোনো জায়গা। ফলে এসব খেলাধুলা যেমন নগরজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, তেমনি খেলাধুলা থেকে সৃষ্ট ব্যায়ামের অভ্যাসও দৈনন্দিন রুটিন থেকে বাদ পড়ছে।
এই চিন্তাধারাকে মাথায় রেখে গ্রেট ওয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এই ‘চাইনিজ স্পোর্টস ক্লাব’ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে বসবাস করা চীনের নাগরিকদের সঙ্গে ঢাকাবাসীর যে দূরত্ব রয়েছে, সেটি কমানোর ভাবনা থেকেও এই ক্লাবের যাত্রা।
এই স্বপ্নের ভাবনা ভেবেছিলেন স্বদেশ প্রপার্টিজের স্বত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াকিল উদ্দিন। সবসময়ই তিনি নগরবাসীর জন্য জনকল্যাণমূলক ভাবনা ভেবে থাকেন। ঢাকায় বসবাসরত চীনা নাগরিকদের জন্যও তিনি ব্যতিক্রমী একটি ক্লাব গড়ার কথা ভেবে এসেছিলেন বহুদিন ধরে। সেই ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে তিনি তার ‘সানভ্যালী’ আবাসনের জমি ওই কোম্পানিকে লিজ বরাদ্দ দেন। এরপরই শুরু হয় ক্লাব তৈরির কাজ।
ক্লাব সূত্র জানায়, বর্তমানে শুধু চীনা নাগরিকরা মেম্বারশিপের মাধ্যমে এই ক্লাবে খেলাধুলা করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের জন্যও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে। ক্লাবে নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে শিশুদের জন্যও থাকবে খেলাধুলার ব্যবস্থা। সেখানে প্রত্যেকদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খেলাধুলা করা যাবে।
এ বিষয়ে স্বদেশ প্রপার্টিজের নির্বাহী পরিচালক (অব.) কর্নেল মো. রাকিবুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক চীনা নাগরিক বসবাস করেন। অথচ তাদের বিনোদনের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি মাথায় রেখে স্বদেশ প্রপার্টিজ তাদের জন্য ‘সানভ্যালী’ আবাসনের জমিটি দিয়েছে। সেখানেই চাইনিজ স্পোর্টস ক্লাবটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এখানে ছেলেরা সবধরণের খেলাধুলা করতে পারবেন। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বর্তমানে কেবলমাত্র ব্যাডমিন্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মেয়েদের জন্যও আরো খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে।’
রাকিবুল হক আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই ক্লাবটিকে আরো বড় পরিসরে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া ক্লাবটির জন্য তৈরি করা হবে একটি কমপ্লেক্স। সেখানে ক্লাবে আসা মানুষজন খেলাধুলা শেষে বিশ্রাম নিতে এবং পরদিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। একইসঙ্গেএই ক্লাবটির মাধ্যমে স্বদেশ প্রপার্টিজের সানভ্যালী আবাসনের সুনামের বিষয়টিও সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বিনোদনের জন্য ক্লাবটি বেশ ভালো ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আরো বড় পরিসরে ক্লাবটি সম্প্রসারিত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্লাবটির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে আরো ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অবস্থা আরো সমৃদ্ধ হবে।’
ক্লাবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন চাইনিজ স্পোর্টস ক্লাবের আয়োজক চেন ঝু, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যবস্থাপনা সহযোগীঝু ইয়োংলে জেমসসহ চায়না কমার্শিয়াল ইউনিয়নের সদস্যরা।
আরও পড়ুন
জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের আহবায়ক ইকবাল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজ
বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরাম সম্মাননা পেলেন শামছুল আলম
চাকরি হারাতে পারেন ৫৪ লাখ বাংলাদেশি