April 2, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, March 29th, 2025, 10:56 am

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে আমন্ত্রণ পেল গঙ্গাচড়ায় গণহত্যায় শহিদ ২২ পরিবারের সদস্যরা

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার স্বাদ এই জাতি পেলেও নানা কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শহিদ পরিবার গুলোকে যথাযথ মর্যাদায় সম্মান দেখাতে পারেনি।
এমনি এক রক্তিম ইতিহাস গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের শংকরদহ বধ্যভূমির ইতিহাস। ১৯৭১ সালে বিজয়ের আগমুহূর্তে ১০-১৬ ডিসেম্বর  শংকরদহ গ্রামে এক নারকীয় গণহত্যা চালায় পাক-হানাদার বাহিনী। এতে শহিদ হন ২২ জন সাধারণ মানুষ। কালের পরিক্রমায় তিস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় শংকরদহ গ্রাম। শহিদ ২২ পরিবারও তিস্তায় ভিটেমাটি হারিয়ে শংকরদহ ছেড়ে চলে যান উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে এবং ইতিহাসের এই ভয়াল অধ্যায় ও রয়ে যায় অন্ধকারে।
২০২০ সালে সাংবাদিক স্বপন চৌধুরী ও কামরুজ্জামান বাদশার দিকনির্দেশনায় চলো হাসি ছড়াই রিসার্চ উইং এই গণহত্যার ইতিহাস পুনরুদ্ধার করে এবং শহিদ পরিবার গুলোকে নিয়ে প্রতিবছর ১৩ ডিসেম্বর গঙ্গাচড়া গণহত্যা দিবস পালন করে এবং এই দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও  শংকরদহ বধ্যভূমিতে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ “রক্তিম গঙ্গাচড়া” নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছে।
বিভিন্ন সময়ে উপজেলা প্রশাসন গণহত্যা দিবস স্বীকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করার প্রেক্ষিতে আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫-এ শহিদ পরিবারগুলোকে আমন্ত্রণ ও ফুলেল সংবর্ধনা প্রধান করেন গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মাহমুদ হাসান মৃধা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি, গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আল এমরান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনাব মোসাদ্দেকুর রহমান। মহান স্বাধীনতা দিবসে-২০২৫ এ আমন্ত্রণ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা।