October 9, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, October 7th, 2025, 3:55 pm

স্বৈরাচার হাসিনার নির্বাচন করার সব পথ বন্ধ হলো

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারো বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে আইনে। একই সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হয়ে থাকলে তিনি সেই পদে থাকার যোগ্যতাও হারাবেন।

এর ফলে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ভোটে অংশ নেওয়ার সব সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩-এর তৃতীয় সংশোধনী অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর শিরোনাম—‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (তৃতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’।

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর আইনটির সংশোধনের প্রস্তাব ‘২০ সি’ ধারা সংযোজনের মাধ্যমে অনুমোদন দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

নতুন ধারায় বলা হয়েছে, আইসিটি আইনের অধীনে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। একইভাবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবেও নির্বাচিত হওয়া বা দায়িত্বে থাকা যাবে না।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে বা অন্য কোনো সরকারি পদেও নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য বলে গণ্য হবেন। তবে যদি ট্রাইব্যুনালের রায়ে তিনি খালাস বা অব্যাহতি পান, তাহলে এই অযোগ্যতা প্রযোজ্য হবে না।

আইন সংশোধনের উদ্দেশ্য—যাতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কেউ বিচারাধীন অবস্থায় রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্বে না থাকতে পারেন—তা নিশ্চিত করা।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের বহু মন্ত্রী-এমপি ও নেতা গ্রেফতার বা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের অনেকে এখন বিভিন্ন হত্যা মামলার আসামি।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করতে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল, সেই একই ট্রাইব্যুনাল এখন আওয়ামী সরকারের আমলে সংঘটিত দমন-পীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে বিচার কার্যক্রম চালাচ্ছে।

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার বিচার বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

এনএনবাংলা/