February 22, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, February 22nd, 2025, 1:28 pm

স্মার্টফোনে লোকেশন ট্র্যাক অফ করবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক:
স্মার্টফোনে যখন যা প্রয়োজন সার্চ করছেন বিভিন্ন অ্যাপে। হয়তো ম্যাপ অ্যাপ ব্যবহার করে কোনো রেস্টুরেন্ট খুঁজছেন, অনলাইনে কিছু কেনার আগে ফোনের ব্রাউজারে দাম দেখছেন, কিন্তু জানতেও পারছেন না ফোন সে সব ট্র্যাক করছে। শুধু তাই নয়, সেই তথ্য অন্যদের শেয়ারও করছে।

ব্যবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করার জন্য বিভিন্ন সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়। যেমন সেল টাওয়ার পিং, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস। কখনো কখনো ব্যবহারকারী নিজেই নিজের লোকেশন জানান। যেমন ক্যাব ড্রাইভারকে।
অনেক অ্যাপ আবারব্যবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করে। কোনো কারণ ছাড়াই। সেই তথ্য পরে অ্যাপ, বিজ্ঞাপনদাতাদের দিয়ে দেয়। এসব তথ্য হ্যাকারদের হাতে পড়লেই সর্বশান্ত হতে সময় লাগে না।

কিপার সিকিউরিটির সিইও জানান, ফিটনেস ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে নেভিগেশন পর্যন্ত প্রতিটা লোকেশন পিং থেকে ইউজারের দৈনন্দিন রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। এসব ভুল হাতে পড়লে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।
তার মতে, যখন দরকার শুধু তখন লোকেশন ট্র্যাকিং চালু করা উচিত। জরুরি পরিস্থিতিতে বা পরিচিত কারো সঙ্গে আপডেট শেয়ার করার সময়। কাজ হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে হবে। কখনোই সবসময় চালিয়ে রাখা ঠিক নয়।

টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন কোন অ্যাপকে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের পারমিশন দেওয়া আছে দেখে নেওয়া উচিত। আইফোন ইউজাররা প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্যাব থেকে লোকেশন সার্ভিসে গিয়ে দেখতে পারেন। আর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সেটিংসে গিয়ে লোকেশন আইকনে ট্যাপ করতে হবে।

এখান থেকে ব্যবহারকারী কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপকে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের পারমিশন দিতে পারেন কিংবা তুলে নিতে পারেন। আইফোনে, ট্র্যাকিং ট্যাব থেকে অ্যালাউ অ্যাপস টু রিকোয়েস্ট টু ট্র্যাক অপশন বন্ধ করে দিলে নতুন অ্যাপের ট্র্যাকিং অটোমেটিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

গুগল অ্যাকাউন্টে গিয়ে লোকেশন হিস্ট্রি কন্ট্রোল ট্র্যাকিং ডাটা ডিলিট করে দিতে পারেন ব্যবহারকারীরা। ব্রাউজারে ফায়ারফক্স ফোকাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ব্যবহারকারীর কোনো তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না।