অনলাইন ডেস্ক :
ফিফার টাকা নিয়ে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম ও ব্যারিস্টার সুমন কোনো ধরনের মতামত প্রকাশ করতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাফুফে সভাপতিকেও মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানি শেষে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘জীবনে প্রথমবার আমি হাইকোর্টে এসেছি। এসব বিষয় নিয়ে আদালতে আসাটাও আমার জন্য ভেরি স্যাড (দুঃখজনক)।’ গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সব মানহানিকর বক্তব্য সরাতে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন বাফুফে সভাপতি।
এর আগে ৬ জুন বাফুফে ও কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করায় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ ১৭ ব্যক্তি/সংস্থাকে আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসির মাধ্যমে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠান কাজী সালাউদ্দিন। ব্যারিস্টার সুমন এছাড়াও বাফুফে থেকে সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন, ক্রীড়া সংগঠক শাকিল মাহমুদ চৌধুরীকেও একই নোটিশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু সংবাদ ও গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া একটি টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সংবাদকর্মীদেরও আইনি নোটিশ দিয়েছেন সালাউদ্দিনের আইনজীবী। হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি স্পষ্ট মনে করি যে আদেশটি হয়েছে সেখানে কোন পক্ষই বিজয়ী হয়নি, পরাজিতও হয়নি। উনি চেয়েছেন যে মানহানিকর কথাবার্তা যেন আমরা না বলি। আমি তো ওনার কথা সত্যই বলেছি, তাতে ওনার যদি মানইজ্জত যায় তবে বিষয়টা আলাদা।
এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আদালত আমাদের তার বিরুদ্ধে কোন মানহানিকর বক্তব্য বন্ধ করতে নির্দেশ দেননি। আদালত শুধু অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদক যে তদন্ত করছে সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন। আর কোন বিষয়ে কথা বলতে আদালত নিষেধ করেননি।’
আরও পড়ুন
ড. ইউনূসের ৫ মামলা বাতিলের রায়ে আইনি দুর্বলতা পাননি আপিল বিভাগ
স্বপ্ন পূরণের ‘প্রেরণাদাতা ও যোদ্ধা’ তামিম বললো: বিসিবি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন তামিম ইকবাল