অনলাইন ডেস্ক :
হাইতির রাজধানী পোর্ট-ঔ-প্রিন্সের একটি অভিজাত এলাকায় গত সোমবার অন্তত ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সেখানে লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অভিজাত এলাকাগুলোতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন গ্যাং নগরীর উপর নিজের দখল শক্ত করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাজধানীর উপকণ্ঠের অভিজাত এলাকা পেশন-ভিলে সোমবার সড়কে অন্তত ১০টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মৃতদেহগুলোর কয়েকটি গুলিবিদ্ধ ছিল। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। এ মানুষগুলো কিভাবে মারা গেলো সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি।
কাছের আরেকটি এলাকায় সোমবার সকালে গোলাগুলি ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। পরে পেশন-ভিলের আশেপাশের সড়কগুলোতে নিরবতা নেমে আসে। এদিকে, ইডিএই ইলেক্ট্রিসিটি সার্ভিস থেকে বলা হয়, তাদের বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক স্টেশনে হামলা হয়েছে এবং হামলাকারীরা বিদ্যুতের তার, ব্যাটারি এবং নথিপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। হাইতিতে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সশস্ত্র গ্যাংগুলো নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। এ মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা নানা সহিংসতা শুরু করে। তারা পুলিশ স্টেশন এবং সরকারি অফিসসহ নানা অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এবং পুয়ের্তো রিকোতে আটকে থাকা অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হেনরি এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিলেন, একটি কাউন্সিল গঠিত হলে তিনি তাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের মধ্যে মতবিরোধের কারণে এখনও কোনো কাউন্সিল গঠন করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার জনসমক্ষে খামেনি
বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনলো ভারত, টার্গেট বাংলাদেশে ‘পুশইন’
নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের