১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা বহন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন, এবং তিনি ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরবেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ‘চিফ অ্যাডভাইজার জিওবি’ ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়েছে, “বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষক ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় সবাইকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।”
এর আগে সোমবার বিকেলে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের প্রস্তুতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
বিজয় দিবসে ঢাকার তেজগাঁও-এর পুরাতন বিমানবন্দরে সকাল ১১টা থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাই-পাস্ট মহড়া পরিচালনা করবে। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ বিজয় দিবসের ব্যান্ড শো।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ‘টিম বাংলাদেশ’-এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপার স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদযাপনে পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং করবেন। এই বিশেষ আয়োজনটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দেশের অন্যান্য শহরেও একই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী ফ্লাই-পাস্ট মহড়া করবে। এছাড়াও পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী ব্যান্ড শো-এর আয়োজন করবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের সব জেলা-উপজেলায় তিন দিনব্যাপী বিজয়মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অ্যাক্রোবেটিক শো, সন্ধ্যা ৬টায় ‘জেনারেল ওসমানী’ শীর্ষক যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় দিবসের গান পরিবেশন করা হবে। দেশের ৬৪ জেলায় নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গান পরিবেশন করবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দরে, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা ও বরিশালসহ অন্যান্য ঘাটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড জনসাধারণের জন্য জাহাজ দর্শনের ব্যবস্থা রাখবে।
ঢাকাসহ দেশের সিনেমা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিনা টিকিটে অনুষ্ঠিত হবে। মিলনায়তন ও উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি জাদুঘর, বিনোদনমূলক স্থান শিশুদের জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।
সারাদেশের মসজিদে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন থাকবে। দেশের হাসপাতাল, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসনকেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণকেন্দ্র ও শিশু পরিবারগুলোতে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি
আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, এ দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না: মাহফুজ আলম
সিঙ্গাপুরে অবতরণ করেছে হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স