December 14, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, December 13th, 2025, 5:08 pm

হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী: মির্জা আব্বাস

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘গণতন্ত্রে আঘাত’ হিসেবে অভিহিত করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি বলেন, “হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একজন সাহসী রাজপথের যোদ্ধা। আমি আশা করি, তাকে নির্বাচনী মাঠে আবার সক্রিয়ভাবে দেখব।”

ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “হাদি আমার সন্তান সমতুল্য। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে আমি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। এটি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

একটি রাজনৈতিক দল পরিস্থিতি উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “দুপুর ২টায় হাদি গুলিবিদ্ধ হন, তার আধাঘণ্টার মধ্যে একটি দল ফেসবুকে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা শুরু করে। হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, সবই পূর্বপরিকল্পিত।”

দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে তিনি শান্ত থাকলেও জানান, হাসপাতালে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা হাদীর সমর্থক নয়, বরং অন্য একটি দলের লোক। “তারা চেয়েছিল হাদির চিকিৎসা ব্যাহত হোক এবং তার জীবন বিপন্ন হোক। তবে আমরা শান্ত থাকায় চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ৭১, ৮৬সহ বহু সময় দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। তারা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না, তাই সবসময় রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়।”

মির্জা আব্বাস জানান, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য পোস্ট দিয়েছেন এবং তাদের সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, “সাতাত্তর সাল থেকে আমরা নির্বাচন করে আসছি, কারও সঙ্গে মারামারি হয়নি। একসঙ্গে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ এবং কিছু বিতর্কিত দল, যারা নির্বাচন ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে। আমরা চাই, হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।”

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এনএনবাংলা/